১. নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন:
বাচ্চাদের মোবাইল ব্যবহারের জন্য প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটি সময় নির্ধারণ করুন। যেমন: শিক্ষার জন্য ৩০ মিনিট বা বিনোদনের জন্য ১ ঘণ্টা।
সময়সীমা অতিক্রম করলে সতর্কতার সঙ্গে মোবাইল বন্ধ করতে বলুন এবং এটি প্রতিদিন অনুসরণ করুন।
২. বিকল্প বিনোদন তৈরি করুন:
বাচ্চাদের শারীরিক ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রাখতে হবে, যেমন খেলাধুলা, আর্ট, পাজল বা বই পড়া। এতে তারা মোবাইলের বিকল্প খুঁজে পাবে।
পরিবার বা বন্ধুর সঙ্গে বাইরে খেলাধুলা করা, ঘুরতে যাওয়া বা পার্কে সময় কাটানোর মতো কাজে তাদের উত্সাহিত করুন।
৩. ডিভাইসের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করুন:
মোবাইল বা ট্যাবলেটে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ব্যবহার করুন, যা দিয়ে আপনি নির্দিষ্ট অ্যাপ বা সাইটে তাদের অ্যাক্সেস সীমিত করতে পারবেন।
বিভিন্ন শিক্ষামূলক অ্যাপ বা গেম ইনস্টল করে বাচ্চাদের মনোযোগ সৃজনশীল এবং শিক্ষামূলক কাজে নিয়ে আসুন।
৪. নিজের উদাহরণ স্থাপন করুন:
বাচ্চারা বড়দের আচরণ থেকে অনেক কিছু শেখে, তাই আপনি নিজে মোবাইলের ব্যবহার সীমিত করুন। পরিবারের সবার জন্য “মোবাইল-ফ্রি টাইম” তৈরি করুন, যেখানে সবাই একসঙ্গে সময় কাটাবে।
ডাইনিং টেবিলে বা ঘুমানোর সময় মোবাইলের ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার নিয়ম তৈরি করুন।
৫. মোবাইল ছাড়াই পারিবারিক সময় কাটান:
প্রতিদিনের খাবারের সময় বা রাতে ঘুমানোর আগে একত্রে সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। গল্প বলা, বই পড়া, বা বাচ্চাদের মনোযোগ মোবাইল থেকে সরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।
৬. ঘুমের রুটিন ঠিক করুন:
ঘুমানোর অন্তত এক ঘণ্টা আগে মোবাইল বন্ধ করতে বলুন। এতে বাচ্চাদের ঘুমের মান উন্নত হবে এবং তারা রাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাবে।
মোবাইলটি বাচ্চাদের ঘর থেকে সরিয়ে রাখুন বা যেখানে তারা ঘুমায় সেখানে মোবাইল ব্যবহার করতে দেবেন না।
৭. বাচ্চার সাথে নিয়মিত কথা বলুন:
মোবাইলের অতিরিক্ত ব্যবহার তাদের জীবনের অন্যান্য অংশে কীভাবে প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে বাচ্চাদের সঙ্গে আলোচনা করুন। তাদের মোবাইলের চেয়ে বাস্তব জীবনের মানুষ ও ঘটনাগুলোর গুরুত্ব বুঝিয়ে দিন।
তাদের চিন্তা ও অনুভূতি শেয়ার করতে উৎসাহিত করুন এবং কেন তারা মোবাইল ব্যবহার করছে তা জানুন। যদি কোনো বিশেষ কারণে তারা মোবাইলের দিকে ঝুঁকে থাকে, সেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন।
৮. ইতিবাচক প্রেরণা দিন
মোবাইল ব্যবহার কমালে বাচ্চাদের প্রশংসা করুন বা ছোট পুরস্কার দিন। এতে তারা আরও উৎসাহিত হবে মোবাইলের আসক্তি কমাতে।
এই পদক্ষেপগুলো অবলম্বন করলে বাচ্চাদের মোবাইল আসক্তি থেকে মুক্ত রাখতে সহায়ক হবে। সঠিক দিকনির্দেশনা এবং তত্ত্বাবধানে তারা ভারসাম্যপূর্ণভাবে মোবাইল ব্যবহার করতে শিখবে।